আপনার ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে চান? অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন (NID Card Correction) এর জন্য কী কী প্রয়োজন এবং কীভাবে আবেদন করতে হবে সেটা নিয়ে বিস্তারিত।
আপনি একজন নতুন ভোটার হওয়ার পর আপনার ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার পরে দেখতে পেলেন আপনার নাম কিংবা আপনার মা-বাবা অথবা অন্য কোন তথ্য ভুল দেওয়া হয়েছে। চিন্তা করবেন না। আপনি অনলাইনে আবেদন জমা দিয়ে মাত্র ৭ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে আপনার ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে পারবেন।
আরও পড়ুন অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড চেক
প্রথমে আমরা জেনে নিন অনলাইনে আপনার ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য কী কী প্রয়োজন। তারপর দেখব অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন-এর জন্য কিভাবে আবেদন করতে হয়।
Contents
- 1 ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে
- 2 ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে
- 3 ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন আবেদন করার নিয়ম
- 4 ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধন
- 5 ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন
- 6 জাতীয় পরিচয়পত্রের অন্যান্য তথ্য সংশোধন
- 7 ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা সংশোধন
- 8 জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন ফি
- 9 ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন সংক্রান্ত প্রশ্ন ও উত্তর
- 9.1 ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি কাগজপত্র লাগে?
- 9.2 কিভাবে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করব?
- 9.3 অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত দিন লাগে?
- 9.4 ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করতে কি কি লাগে?
- 9.5 ভোটার আইডি কার্ড কতবার সংশোধন করা যায়?
- 9.6 ভুলক্রমে পিতা, মাতা অথবা স্বামীকে মৃত উল্লেখ করা হলে তা সংশোধনের জন্য কি কি ডকুমেন্ট দাখিল করতে হবে?
- 9.7 এনআইডি কার্ডে স্বাক্ষর পরিবর্তন করতে চাই, কীভাবে করতে পারি?
- 9.8 ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করতে কত টাকা লাগে?
- 9.9 নিজ পিতা স্বামী মাতার নামের বানান সংশোধন করতে আবেদনের সাথে কি কি দলিল জমা দিতে হবে?
- 9.10 স্মার্ট কার্ড সংশোধন ফি কত?
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে, আপনার শিক্ষার প্রমাণ অর্থাৎ সার্টিফিকেট, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ডিজিটাল আইডি কার্ডের কপি, বিবাহের কাবিন, পিতামাতার আইডি কার্ড এবং সন্তানের আইডি কার্ডের প্রয়োজন হয়। এই ডকুমেন্ট গুলোর মধ্যে যেকোন দুটি ডকুমেন্ট জমা দিয়ে জাতিয় পরিচয়পত্র সংশোধন করতে পারবেন।
মূলত, প্তথ্য সংশোধনের ধরণের উপর নির্ভর করে ডকুমেন্ট পরিবর্তিত হয়। নীচে সংশোধনের ধরণের উপর নির্ভর করে প্রয়োজনীয় তথ্য গুলি দেওয়া হয়েছে;
সংশোধনের বিষয় | প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট |
নাম সংশোধন | এসএসসি বা এইচএসসি অথবা সমমানের সার্টিফিকেট। জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল কপি। পাসপোর্ট অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স। এমপিও সিট অথাব সার্ভিস বহি। বিবাহের কাবিন। নিম্নে ২ সন্তানের ভোটার আইডি কার্ডের কপি যেখানে পিতা/মাতার নাম সঠিক ভাবে দেওয়া আছে। |
জন্ম তারিখ সংশোধন | এসএসসি বা এইচএসসি পরিক্ষার সার্টিফিকেট। জন্ম নিবন্ধনের ডিজিটাল কপি। পাসপোর্ট অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স। এমপিও সিট অথাব সার্ভিস বহি। বিবাহের কাবিন। |
পিতা-মাতার নাম সংশোধন। | এসএসসি বা এইচএসসি পরিক্ষার সার্টিফিকেট। জন্ম নিবন্ধনের ডিজিটাল কপি। পাসপোর্ট অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স। বা – মায়ের ভোটার আইডি কার্ড। মা – বাবার জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল কপি। ওয়ারিশন সার্টিফিকেট (পিতার সকল সন্তানদের জন্মের ক্রম অনুযায়ী নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর উল্লেখিত) ভাই – বোনের জাতীয় পরিচয়পত্র |
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য ২৩০ টাকা ফি নেওয়া হবে। তবে ভোটার আইডি কার্ডের অন্যান্য তথ্য সংশোধনের খরচ ১১৫ টাকা এবং উভয় ধরনের তথ্য সংশোধনের জন্য ৩৪৫ টাকা খরচ হবে। ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফি বিকাশ বা রকেটের মাধ্যমে প্রদান করা যায়।
আসুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে অনলাইনে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনের জন্য আবেদন করবেন।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন আবেদন করার নিয়ম
প্রথমে আপনার ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে Services.nidw.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন। আপনার NID নম্বর, জন্ম তারিখ এবং ঠিকানা দিয়ে এখানে আপনার অ্যাকাউন্ট নিবন্ধন করুন। তারপর লগ ইন করে আপনার প্রোফাইলে যান সেখানে ইডিট লিঙ্কে ক্লিক করে আপনার ভোটার তথ্য পরিবর্তন করুন। তারপরে আপনি সংশোধন ফি এবং প্রয়োজনীয় সার্টিফিকেট গুলো আপলোড করে আপনার আবেদন জমা দিন। আবেদন মঞ্জুর হলে তথ্য সংশোধন করা হবে।
নীচে আমরা বিস্তারিত ভাবে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন- এর জন্য তথ্য পরিবর্তনের পক্রিয়াটি ধাপে ধাপে দেখিয়েছি। ধাপগুলি অনুসরণ করে আপনি ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
প্রথম ধাপ – প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের স্ক্যান/ ছবি তুলে নিন
ভোটার আইডি সংশোধনের জন্য আবেদন করার আগে, আপনার প্রয়োজনীয় প্রমাণগুলি স্ক্যান করা উচিত এবং নির্দিষ্ট আকারে কেটে নেওয়া উচিত। আপনি যদি এটি স্ক্যান করতে না পারেন তবে এটি টেবিলে রাখুন এবং উপর থেকে ফটো তুলে নিন।
দ্বিতীয় ধাপ – এনআইডি ওয়েবসাইটে রেজিষ্ট্রেশন করুন
আপনি যদি ন্যাশনাল কার্ডের ওয়েবসাইটে নিবন্ধিত হন, তাহলে আপনার NID নম্বর এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে সরাসরি লগ ইন করুন। তবে আপনি যদি এখনও ভোটার আইডি কার্ডের ওয়েবসাইটে রেজিষ্ট্রেশন না থাকেন তাহলে আগে রেজিষ্ট্রেশন করে নিন।
কিভাবে রেজিষ্ট্রেশন করতে হয় এখানে দেখুন
তৃতীয় ধাপ – তথ্য সংশোধন করুন
আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র অ্যাকাউন্টে লগ ইন করার পরে, প্রোফাইল অপশনে দেখতে পারবেন তিন প্রকারের তথ্য রয়েছে : ব্যক্তিগত তথ্য, অন্যান্য তথ্য এবং ঠিকানা।
আপনার ব্যক্তিগত তথ্য পরিবর্তন করতে, উপরের বামদিকে কোণায় “এডিট” বাটনে ক্লিক করুন। তারপর আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, অন্যান্য তথ্য অথবা ঠিকানা নির্বাচন করুন।
আপনি যে তথ্য পরিবর্তন করতে চান তার বাম দিকের চেক বক্সে ক্লিক করুন। তারপর আপনার তথ্যদী সার্টিফিকেট কিংবা অন্য ডকুমেন্ট অনুযায়ী সঠিকভাবে লিখুন। তারপর “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করুন।
আপনার সংশোধন করা তথ্যের পূর্বরূপ এবং সংশোধিত করা রুপ দেখতে পারবেন, সবকিছু ভালো ভাবে দেখোন ঠিক থাকলে আবারও পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
চতুর্থ ধাপ – জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ফি প্রদান করুন
এখন আপনাকে ভুল তথ্যের ধরণের উপর নির্ভর করে ফি দিতে হবে। আপনার কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনে আপনি যা করেছেন তা বন্ধ করবেন না। আপনাকে অবশ্যই ফি প্রদান করতে হবে এবং বাকি আবেদনটি সম্পূর্ণ করতে হবে। আরও পড়ুন – একটি NID মেরামতের খরচ কত?
বিকাশের মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফি প্রদানের নিয়ম
Bkash অ্যাপে আপনার Bkash অ্যাকাউন্টে লগ ইন করুন এবং Bkash এর মাধ্যমে আপনার বিল পরিশোধ করুন। তারপর নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।
- প্রথমে পে বিল অপশনে যান।
- সরকারি ফি অপশনে ক্লিক করুন তারপর NID Service অপশনটি নির্বাচন করুন।
- আপনার ভোটার আইডি কার্ড নম্বরটি ইংরেজিতে লিখুন।
- আপনার আবেদনের ধরণ বাছাই করুন।
- তারপর বিকাশ একাউন্টের পিন নম্বর দিয়ে ফি প্রধান করুন।
ফি পরিশোধ করার পর, আপনি ভোটার আইডি কার্ডের ওয়েবসাইটে ফিরে আসোন এবং আপনার ডকুমেন্ট গুলো আপলোড করে আবেদন সম্পন্ন করুন।
পঞ্চম ধাপ – ডকুমেন্ট আপলোড ও আবেদন সাবমিট
প্রথম ধাপে বলা হয়েছিল আপনার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট স্ক্যান করে বা ফটোকপি করে এবং একটি ফোল্ডারে সংরক্ষণ করে রাখতে। আপনি এখন প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট গুলো আপলোড করতে পারবেন।
ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধনের সবচেয়ে কার্যকর প্রমাণ হলো শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট, পাসপোর্ট এবং ড্রাইভার লাইসেন্স। তাছাড়া অবশ্যই জন্ম নিবন্ধনের ডিজিটাল কপি আপলোড করতে হবে।
ষষ্ঠ ধাপ ৬ – ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফরম ডাউনলোড
আবেদন জমা দেওয়ার পরে, আপনার ড্যাশবোর্ডে ফিরে যান। উপরে আপনি অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করার জন্য একটি লিঙ্ক পাবেন। জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন ফর্ম ডাউনলোড এবং সংরক্ষণ করতে লিঙ্কে ক্লিক করুন।
ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধন
আপনার ভোটার আইডি কার্ডের জন্ম তারিখ সংশোধন করতে, “services.nidw.gov.bd”-এ যান এবং আপনার আইডি কার্ড নম্বর এবং জন্ম তারিখ দিয়ে নিবন্ধন করুন। তারপর লগইন করে প্রোফাইল অপশনে যান। এডিট বাটনে ক্লিক করুন, সঠিক জন্ম তারিখ লিখুন এবং ফি প্রদান করুন। অবশেষে, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করে আপনার আবেদন জমা দিন।
আপনার জাতীয় ভোটার আইডি কার্ডে জন্ম তারিখ সংশোধন করতে, আপনার একটি এসএসসি বা সমমানের শিক্ষা সার্টিফিকেট এবং ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন প্রয়োজন। শিক্ষাগত সার্টিফিকেট না থাকলে, আপনি আপনার পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, এমপিও শিট বা পরিষেবা বইয়ের কপি এবং বিবাহের কাবিন দিতে পারেন।
ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন
ভোটার আইডি কার্ডে নাম সংশোধনের জন্য JSC/SSC/HSC শিক্ষা সনদ বা সমমানের সার্টিফিকেট এবং জন্ম নিবন্ধন প্রয়োজন। শিক্ষাগত যোগ্যতার কোনো প্রমাণ না থাকলে, এখান থেকে যে কোন একটি ডকুমেন্ট দিতে পারেনঃ পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, এমপিও শীট বা পরিষেবা রেকর্ড বইয়ের একটি কপি, বিবাহের কাবিন এবং কমপক্ষে দুটি সন্তানের পরিচয়পত্র।
আপনার নাম প্রমান করার জন্য যেকোন দুটি ডকুমেন্ট প্রদান করা ভালো। তবে আপনি একটি ডকুমেন্ট দিয়েও অনুরোধ করতে পারবেন। এই ক্ষেত্রে, আপনার আবেদন অনুমোদিত হওয়ার সম্ভাবনা কম।
অতএব, উপরের যেকোন দুটি ডকুমেন্ট প্রদান করা ভাল।
জাতীয় পরিচয়পত্রের অন্যান্য তথ্য সংশোধন
জাতীয় ভোটার আইডি কার্ডের অতিরিক্ত তথ্য নিম্নরূপ: শিক্ষা, পেশা, মোবাইল নম্বর, ধর্ম, ঠিকানা ইত্যাদি। অনলাইনে আবেদন জমা দিয়ে এবং সঠিক ডকুমেন্ট আপলোড করার মাধ্যমে এই তথ্য সংশোধন করা যেতে পারে। অন্যান্য তথ্য সংশোধনের জন্য ভ্যাট সহ ১১৫ টাকা ফি নেওয়া হবে।
ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা সংশোধন
অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ডের পুরো ঠিকানা পরিবর্তন করা যাবে না। আপনি শুধুমাত্র বাড়ির নম্বর এবং গ্রামের নাম পরিবর্তন করতে পারবেন। আপনার ঠিকানা সম্পূর্ণরূপে সংশোধন করতে, আপনাকে অবশ্যই ঠিকানা পরিবর্তনের একটি ফর্ম পূরণ করতে হবে এবং আপনার স্থানীয় নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হবে।
জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন ফি
ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধনের খরচ ভ্যাট সহ ২৩০ টাকা এবং অন্যান্য তথ্য সংশোধনের খরচ ১১৫ টাকা। উভয়ের জন্য তথ্য সংশোধনের ফি ভ্যাট সহ ৩৪৫ টাকা, পুনঃআবেদনের জন্য ৩৪৫ টাকা এবং জরুরী পুনঃআবেদন করার জন্য ৫৭৫ টাকা।
সংশোধনের ধরণ | ফি’র পরিমাণ |
ভোটার কার্ড তথ্য সংশোধন – NID Info Correction | ২৩০ টাকা। |
অন্যান্য তথ্য সংশোধন – Other Info Correction | ১১৫ টাকা। |
উভয় তথ্য সংশোধন – Both Info Correction | ৩৪৫ টাকা। |
রিইস্যু – Duplicate Regular | ৩৪৫ টাকা। |
রিইস্যু জরুরী – Duplicate Urgent | ৫৭৫ টাকা |
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন সংক্রান্ত প্রশ্ন ও উত্তর
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি কাগজপত্র লাগে?
সাধারণত ভোটার আইডি, শিক্ষাগত সনদ, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং ডিজিটাল জন্ম সনদের কপি, এমপিও শিট বা পরিষেবা বইয়ের কপি, বিবাহের কাবিন ইত্যাদি সংশোধনের জন্য প্রয়োজন।
কিভাবে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করব?
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য, services.nidw.gov.bd এ যান এবং আপনার আইডি কার্ড নম্বর এবং জন্ম তারিখ লিখুন। আপনার অ্যাকাউন্টে লগ ইন করুন এবং আপনার প্রোফাইলে যান। তারপরে এডিট বাটনে ক্লিক করুন এবং পরবর্তী ধাপে যেতে সঠিক জন্ম তারিখ লিখুন। পরবর্তী ধাপ হল জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন ফি প্রদান করা, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করা এবং আপনার আবেদন জমা দেওয়া।
অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত দিন লাগে?
অনলাইনে ভোটার আইডি সংশোধন করতে ৭ থেকে ১৫ দিন সময় লাগে। যাইহোক, কিছু ক্ষেত্রে এটি ৪৫ দিন পর্যন্ত লাগতে পারে। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, NID Card সংশোধনের আবেদন ৪৫ দিনের মধ্যে অনুমোদিত বা বাতিল করা হবে।
ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করতে কি কি লাগে?
ভোটার আইডি কার্ডে নাম সংশোধনের জন্য JSC/SSC/HSC শিক্ষা সনদ বা সমমানের সার্টিফিকেট এবং জন্ম নিবন্ধন প্রয়োজন। শিক্ষার কোন প্রমাণ না থাকলে, এখান থেকে যেকোন একটি জমা দিতে পারেনঃ পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, এমপিও শীট বা পরিষেবা রেকর্ড বইয়ের কপি, একটি বিবাহের কাবিন এবং কমপক্ষে দুটি সন্তানের পরিচয়পত্র।
ভোটার আইডি কার্ড কতবার সংশোধন করা যায়?
আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ডের একই তথ্য একাধিকবার সংশোধন করতে পারবেন না। তবে ঠিকানা, স্বামীর নাম, স্ত্রীর নাম এবং রক্তের ধরন কয়েকবার পরিবর্তন করা যেতে পারে।
ভুলক্রমে পিতা, মাতা অথবা স্বামীকে মৃত উল্লেখ করা হলে তা সংশোধনের জন্য কি কি ডকুমেন্ট দাখিল করতে হবে?
যদি একজন জীবিত ব্যক্তিকে মৃত হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়, তবে সেই ব্যক্তির জাতীয় পরিচয় পত্র অবশ্যই সংশোধনের জন্য প্রদান করতে হবে।
এনআইডি কার্ডে স্বাক্ষর পরিবর্তন করতে চাই, কীভাবে করতে পারি?
আপনার এনআইডি কার্ডের স্বাক্ষর পরিবর্তন করতে, আপনাকে উপজেলা নির্বাচন অফিসে ব্যক্তিগতভাবে যেতে হবে এবং জাতীয় পরিচয়পত্র পরিবর্তন ফর্ম 2 পূরণ করতে হবে। আপনাকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিবর্তন ফি বাবদ ভ্যাট সহ ২৩০ টাকা জমা দিতে হবে।
ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করতে কত টাকা লাগে?
আইডি কার্ডের নাম সংশোধন করার জন্য, ভ্যাট সহ ২৩০ টাকা প্রয়োজন।
নিজ পিতা স্বামী মাতার নামের বানান সংশোধন করতে আবেদনের সাথে কি কি দলিল জমা দিতে হবে?
আপনার পিতামাতার নাম সংশোধন করতে, আপনাকে আপনার ভাইবোনদের শিক্ষার সনদ, জন্ম নিবন্ধন এবং ভোটার আইডি কার্ড জমা দিয়ে হবে। আপনার স্বামীর নাম সংশোধন করতে, আপনাকে অবশ্যই আপনার স্বামীর বিবাহের কাবিন নামা এবং ভোটার কার্ড জমা দিয়ে হবে।
স্মার্ট কার্ড সংশোধন ফি কত?
স্মার্ট কার্ড সংশোধন ফি সর্বনিম্ন ২৩০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৩৪৫ টাকা ভ্যাট সহ। ভোটার তথ্য সংশোধনের ফি আবেদনের ধরনের উপর নির্ভর করে।